মো: গোলাম কিবরিয়া,
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
বিচার ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার নিশ্চিত করার পরই জাতীয় নির্বাচন—এই দাবিকে সামনে রেখে চলমান ‘জুলাই অভ্যুত্থান পদযাত্রা’ রবিবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
পদযাত্রার অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শান্তিমোড় থেকে রওনা হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এক পথসভায় মিলিত হন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন,
“আমরা এসেছি জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা নিয়ে—যে বার্তা ইনসাফভিত্তিক, বৈষম্যহীন এক নতুন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখায়। আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, চেয়েছি মৌলিক সংস্কার ও গণত্যাকারীদের বিচারের নিশ্চয়তা।”
তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে রাজশাহীর মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এ বৈষম্য দূর করতে চায় এনসিপি।
সীমান্তে বিএসএফের আগ্রাসনের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন,
“বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড ছোড়ে, বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এবার আর মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্তে আর আগ্রাসন হলে এনসিপি লং মার্চ ঘোষণা করবে। সীমান্ত রক্ষা করবে দেশের জনগণ।”
পথসভায় দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন,
“দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করে মানুষকে নিপীড়ন করেছে। দিল্লি সরকারও সেই দমন-পীড়নে সহযোগিতা করেছে। আমরা জনগণের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যাব।”
তিনি আরও বলেন,
“ছাত্র-জনতার ত্যাগে যে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠছে, সেখানে পুরোনো সিস্টেম আর চলবে না। বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রই হবে আগামী দিনের বাংলাদেশ।”
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী, তাসনিম জারা প্রমুখ।
পথসভা শেষে সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে একটি বিশাল মঞ্চে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আগত নেতাকর্মীরা অংশ নেন।