নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের বৈরাটী আলিম মাদরাসায় দাখিল শাখার মৌলভি শিক্ষক শাহজাহান সুযোগে দুর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে জাল কাগজ বানিয়ে অধ্যক্ষ দাবি করে,অধ্যক্ষের এমপিও ভুক্তি করে নেয় মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ২০২৪ইং সালের ডিসেম্বর মাসের এমপিও’তে ।(ইন নম্বর-১১১৮০৪) খবর নিয়ে জানাযায়,বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টানে এমপিও ভুক্তি করতে হলে”অনলাইন সার্ভারে আবেদন করার নিয়ম থাকলেও দূর্ণীতিবাজ শাহজাহান তা করেনি।ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে খবর নিতে গেলে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। অনলাইন সার্ভারে এমপিও ভুক্তির জন্য শাহজাহান কোন আবেদন করেনি।গত ২০২৪ ইং সালের নভেম্বর মাসে এমপিওতে শাহজাহান ৯-কোডের ৩২৪৯০/(বত্রিশ হাজার টাকা) বেতনে নাম আসলেও!আশ্চর্য্যের ব্যাপার যে সম্প্রতি ২০২৪ইং সালের ডিসেম্বর মাসের ৬-কোডের ৩৭০০০/(সাইত্রিশ হাজার টাকা) এমপিওতে অধ্যক্ষের নাম নিয়ে আসে।অগ্রণী ব্যাংক(ঈশ্বরগঞ্জ শাখা) হিসাব নং-৮৮৪৪। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে শাহজাহানের অধ্যক্ষের এমপিও ভুক্তি নিয়ে সর্বত্রই।১৯৬০ইং সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্টা করেন-(অলিয়ে কামিল আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ সুফি মুহম্মদ হোসাইন আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি।(প্রতিষ্টান নম্বর-৪০০৩০৫২২০২) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শাহজাহান প্রতিষ্টানে গত কয়েক বছর যাবত কমিটি গঠন না করে নিজের ইচ্ছা মত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।বিগত সময়ে পত্রিকায় মাদরাসায় ভূয়া-জাল কাগজ দেখিয়ে সহকারি মৌলভি পদের শিক্ষক শাহজাহান অধ্যক্ষ বনে যাওয়ার ব্যাপারটি প্রকাশিত হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়। খবর নিয়ে জানা যায় এ মাদরাসায় ইতিপূর্বে (দাখিল শাখার) মৌলভি শিক্ষক মো সুলতান উদ্দিনের শুন্যপদে মোঃ শাহজাহান-১৯৯৪ ইং সালে নিয়োগ নেয়। মোলভী শিক্ষক পদ থেকে শাহজাহান একাধিকবার উচ্চতর স্কেল নিয়ে বাইশ হাজার টাকা স্কেলে বেতন ভাতা উওোলন করছেন।তার শিক্ষা জীবনে দাখিল,আলিম,ফাজিল (তিন শ্রেনিতেই) তৃতীয় বিভাগ রয়েছে। ইনডেক্স নং-৩৩৭৯৪৭ বেতন কোড-৯।তবে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো তথ্য গোপন করে ভূয়া -জাল কাগজ বানিয়ে অধ্যক্ষ পদ দেখিয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এম পি ও সিটে ২০২০ইং সালের জুন মাসে অধ্যক্ষ পদের নাম লাগিয়ে নেয়।অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রবিধানমালা নিয়ম অনুযায়ী আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে হলে আরবি প্রভাষক পদের যোগ্যতা কিংবা অন্য মাদ্রাসার(দাখিল) সুপার থাকার নিয়ম থাকলেও শাহজাহানের ক্ষেএে তা নেই। তৎসময়ে এলাকায় এনিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়ে শাহজাহান। অনিয়ম ঢাকতে শাহজাহান কৌশলে মাদরাসায় বিভিন্ন বিসৃ্ঙ্খলা সৃষ্টি করছে এলাকার লোকজন মনে করেন।এছাড়াও মাদরাসার আয় ব্যয়ের নেই কোন হিসাব নিকাশ।লাখ লাখ টাকা বিনা ভাউচার ছাড়াই আত্বসাৎ করছে।অপরদিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের; কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের,মাদরাসা শাখা-২ থেকে ৫-ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখের ৫৭.০০.০০০০.০৮৫.২৭.০৩.২০১৮-৬৫ স্বারক মুলে শাহজাহানের অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত করনের জন্য মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে চিঠি দেন। এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ট তদন্ত করলে শাহজাহানের অধ্যক্ষ হওয়ার বিষয়টি বেড়িয়ে আসবে।তবেই মাদরাসার সুনাম রক্ষা পাবে। তাছাড়া বিগত বছরের সরকার কতৃক বরাদ্ধ কৃত টিওশন ফির সবটাকাই শিক্ষকদের মাঝে বন্টন না করে সবটাকাই হাতিয়ে নেয় শাহজাহান।তারকাছে শিক্ষকরা জানতে চাইলে রেগে যেয়ে বলেন আপনারা কি জানেন। এছাড়াও অতি কৌশলে কমিটি গঠন করার জন্য চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।শাহজাহানের দূর্ণীতি অনিয়মের কারণে মাদরাসাটি দিনদিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।বিগত সময়ে অবৈধভাবে কমিটি গঠন করায় মাদরাসা বোর্ড কমিটি বাতিল করে দেয়।পরবর্তিতে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।রিটপিটি নং৮৩০৪/২০১৬।মামলাটি শেষ হয়ে যায়।এসব বিষয়ে শাহজাহানের কাছে একাদিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদরাসার অধ্যক্ষ বলেন দাখিল শাখার মৌলভি পদের শিক্ষক শাহজাহানের অধ্যক্ষ হওয়ার যোগ্যতা নেই।তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে তার দূর্ণীতি-অনিয়মের চিত্র! এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জানতে চাইলে প্রতিনিধিকে বলেন অনলাইন সার্ভারে শাহজাহান এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করেনি।