দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার কড়াকড়ির প্রভাব এসে পড়েছে সরাসরি ক্রীড়াঙ্গনে। নতুন এক নির্বাহী আদেশে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও তৃণমূল পর্যায়ের মেয়েদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছেন।
এই আদেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফেডারেল সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রথম বড় শিকার হয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার সাঁতারু লিয়া টমাস। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্রীড়াবিদ ২০২১-২২ মৌসুমে এনসিএএ চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের সাঁতার বিভাগে অংশ নিয়ে স্বর্ণপদক জেতেন এবং প্রথম ট্রান্সজেন্ডার নারী হিসেবে ইতিহাস গড়েন। কিন্তু তার এ জয় ঘিরে শুরু থেকেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়।
নারী ক্রীড়াবিদদের অভিযোগ, লিয়া টমাস এর আগে পুরুষ বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন, যেখানে তার অবস্থান ছিল ৪৬২তম। অথচ নারীদের বিভাগে অংশ নিয়েই তিনি উঠে আসেন শীর্ষে—যা প্রতিযোগিতায় অন্যদের প্রতি এক ধরনের বৈষম্য বলে দাবি ওঠে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন আইনি লড়াইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। চুক্তির আওতায় লিয়ার ২০২১–২২ মৌসুমের সব ব্যক্তিগত সাফল্য ও রেকর্ড বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু একটি দলীয় ইভেন্টে তার নাম রাখা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা স্বীকার করি, আমাদের কিছু শিক্ষার্থী ক্রীড়াবিদ এই ঘটনার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং যাদের প্রতি বৈষম্য হয়েছে বা মানসিক আঘাত পেয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে ক্ষমাপত্র পাঠানো হবে।”