মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর):
যশোর মেডিকেল কলেজে সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবু হাসনাত মো. আহসান হাবীব।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) কলেজের স্মারক নম্বর ৫৯.১৪.৪১৮৭.০০০.১৪২.০৬.০০০১.২৫–এ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ৮ আগস্ট একাডেমিক কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় প্রথমবারের মতো সকল প্রকার সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর একটি রাজনৈতিক সংগঠন পুনরায় কলেজ ক্যাম্পাসে সক্রিয় হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিভাজন তৈরি হয়।
বিশেষত, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (ড্যাব) সমর্থিত কিছু শিক্ষক তাদের অনুসারীদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুই দলে বিভক্ত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে সন্ধানী ইউনিটেও গড়ে ওঠে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ।
গত ২৯ জুন ‘ঐশিক’ নামক একটি গ্রুপ নতুন শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। পরদিন ৩০ জুন আবারও একই সংগঠনের ব্যানারে আরেকটি নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয় কলেজ ক্যান্টিনে। এই দ্বৈত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, শিক্ষক ও ডাক্তারদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ সন্ধানীসহ সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব বলেন,
“শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি এবং মুখোমুখি অবস্থান পরিলক্ষিত হওয়ায় যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো শিক্ষার্থীকে রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত মতাদর্শের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আমরা সুশৃঙ্খল একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”