আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পুত্রবধূ লারা ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের সিনেট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্য থেকে সিনেটের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, “লারা নর্থ ক্যারোলাইনায় জন্মেছে, বেড়ে উঠেছে, যদিও বর্তমানে সে ফ্লোরিডায় বসবাস করে। আমি সবসময়ই চাইতাম সে নির্বাচনে অংশ নিক। মানসিকভাবে সে সবসময় নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা।”
টিলিসের বিরোধিতার জেরে মনোনয়ন
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মনোনয়নের পেছনে রাজনৈতিক প্রতিশোধের ইঙ্গিত রয়েছে। কারণ, সদ্য সিনেটে পাস হওয়া কর সংস্কার ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিলে নর্থ ক্যারোলাইনার বর্তমান রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস বিপক্ষে ভোট দেন। বিলটিতে ধনীদের জন্য করছাড় এবং দরিদ্রদের স্বাস্থ্যবিমার বাজেট কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, যা ট্রাম্প প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল।
টিলিসের এমন অবস্থানে ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সেই ক্ষোভ থেকেই ট্রাম্প ২০২৬ সালের সিনেট নির্বাচনে টিলিসের জায়গায় নিজের পরিবারের সদস্যকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কে লারা ট্রাম্প?
লারা ট্রাম্প হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় সন্তান এরিক ট্রাম্পের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রচার কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কো-চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনীতির বাইরে লারা একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় কনজারভেটিভ চ্যানেল ফক্স নিউজে ‘My View with Lara Trump’ নামে একটি সাপ্তাহিক টক শো উপস্থাপনা করেন।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকড্রপ
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের মোট সদস্য সংখ্যা ১০০ জন—প্রতিটি অঙ্গরাজ্য থেকে দুইজন করে। নর্থ ক্যারোলাইনা একটি ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ হিসেবে পরিচিত, যেখানে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে নর্থ ক্যারোলাইনার একটি আসন নতুন করে দখলে রাখার জন্য লারাকে প্রার্থী করে ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ে পারিবারিক সদস্যদের আরও সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।