স্বাস্থ্য ডেস্ক:
ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রথমেই মিষ্টিজাত খাবার এড়িয়ে চলেন। চিনি এবং চিনিযুক্ত খাবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে—এ কারণে চিকিৎসকরা তা নিষেধ করে থাকেন। তবে শুধু মিষ্টি নয়, কিছু ফল এবং কিছু নির্দিষ্ট মাছও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবার আগে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা জরুরি। খাদ্যাভ্যাসে ভারসাম্য রক্ষা করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ হয়। এজন্য কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের পরিমাণ, প্রতিদিনের খাবারের সময় এবং উপাদানগুলোর সমন্বয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
কোন মাছ এড়িয়ে চলবেন ডায়াবেটিস রোগীরা?
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট মাছ সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন:
🔹 পাকা পোনা মাছ
এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
🔹 চিংড়ি মাছ
উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে এটি সীমিতভাবে খাওয়া উচিত। এটি হাইপারটেনশন এবং হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
🔹 কিছু সামুদ্রিক মাছ
যেমন টুনা, ম্যাকেরেল প্রভৃতি মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকলেও এর কিছু প্রজাতিতে কোলেস্টেরল বেশি থাকে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের এসব মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিতি জ্ঞান জরুরি।
রান্নার পদ্ধতিও গুরুত্বপূর্ণ
মাছ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি প্রোটিন উৎস হলেও রান্নার ধরন গুরুত্বপূর্ণ। ভাজা বা বেশি তেলে রান্না করা মাছের বদলে সিদ্ধ, গ্রিল অথবা স্টিম করা মাছ খাওয়া অধিক স্বাস্থ্যকর। অতিরিক্ত তেল, ঝাল-মসলা বা ডীপ ফ্রাই খাবার রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ায়।