মো. রেজাউল হক শাকিল, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে আমদানিকৃত বিদেশি ফলের চাহিদা কমে গেছে। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, জাম, পেয়ারা সহ নানা ধরনের দেশীয় ফল এখন বাজারে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সদর বাজারের ফল বিক্রেতা ইকবাল হাসান বলেন, “এখন বাজারে দেশীয় ফলের সমারোহ। আম, কাঁঠাল, লিচু—সবই ভালো দামে পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতারা বিদেশি ফলের চেয়ে দেশীয় ফলেই আগ্রহী।”
সাহেবাবাদ বাজারের বিক্রেতা মামুন মিয়া জানান, “বিদেশি ফলের তুলনায় মৌসুমি ফল সস্তা এবং স্বাদে ভরপুর। তাই ক্রেতারা এখন দেশীয় ফলের দিকেই ঝুঁকছেন। ফলে আমদানিকৃত ফলের বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে।”
ক্রেতারাও বলছেন, দেশীয় মৌসুমি ফল সারা বছর পাওয়া যায় না, তাই এ সময়ে এসব ফলের প্রতি আগ্রহ বেশি।
ক্রেতা তাসনোভা ইসলাম বন্যা জানান, “সব সময় তো আপেল, আঙুর খাওয়া হয়। কিন্তু দেশীয় ফলের মৌসুমে আম-লিচুর স্বাদই আলাদা। আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য আম আর লিচু কিনেছি।”
একই কথা বলেন ক্রেতা আরাফাত ইসলাম শান্ত। তিনি বলেন, “এখন আমের মৌসুম। তাই ৫ কেজি দেশীয় আম কিনেছি। অন্য সময়ে হয়তো আপেল বা মাল্টা কিনতাম।”
ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের কৃষকদের উৎপাদিত মৌসুমি ফল সহজলভ্য হওয়ায় এবং দামে সাশ্রয়ী থাকায় তা শুধু সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে না, বরং আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বাজারে দেশীয় ফলের অবস্থানকে শক্তিশালী করছে।