সিলেট ব্যুরো:
সিলেটে এক নারী গৃহপরিচারিকাকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ সুরমা থানায় দায়ের করা অভিযোগে ধর্ষকসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভিকটিমের অভিযোগ অনুযায়ী, ধর্ষণে সরাসরি অংশগ্রহণকারীসহ একজন নারী সহযোগীও এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
ভিকটিম পাঁচ সন্তানের জননী, তার স্বামী পঙ্গু। সুনামগঞ্জের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে জীবিকার তাগিদে তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। একই বাসায় কাজ করতেন ইসলামপুর গ্রামের মাহমুদা বেগম নামের এক নারী গৃহপরিচারিকাও।
ভিকটিমের অভিযোগ, ১৮ জুন (বুধবার) রাত ৯টার দিকে মাহমুদা তাকে অন্য একটি বাসায় কাজ আছে বলে ফুসলিয়ে প্রাইভেটকারে তুলে দেন। গাড়িতে থাকা তিন ব্যক্তি তার সঙ্গে অশালীন আচরণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। পরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে নিয়ে গিয়ে আবু সালমান ওরফে আবুল (নভাগ কামালবাজার, বিশ্বনাথ) তাকে ধর্ষণ করে।
পরে অন্য দুই সহযোগীও ধর্ষণের চেষ্টা করলে ভিকটিমের চিৎকারে তারা পালিয়ে যায়। ভিকটিম রাতে বাসায় ফিরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। এরপর ২০ জুন তাকে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার পর ২১ জুন তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান এবং একই দিন দক্ষিণ সুরমা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন:
- আবু সালমান ওরফে আবুল (নভাগ কামালবাজার, বিশ্বনাথ)
- মতিউর রহমান নাজমুল (একই গ্রাম)
- ফাহিম (পিতা: আব্দুল হান্নান ওরফে সন্দর)
- মাহমুদা বেগম (ইসলামপুর, কোম্পানীগঞ্জ)
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে মামলা রুজু করা হবে।”
রোববার রাতে একাধিকবার অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি বা বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।