মনির হোসেন, বেনাপোল:
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কেমিকেল ল্যাবে থাকা ‘হ্যাজমেট’ নামের একটি অত্যাধুনিক মেশিন প্রায় এক বছর ধরে অচল থাকায় পণ্য খালাস প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে আমদানিকারকরা অর্থদ- ও দীর্ঘসূত্রতায় ভুগছেন, পাশাপাশি দেশীয় শিল্পকল ও কারখানার উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান, মেশিন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় তারা কাজ চালাতে পারছেন না। বেনাপোল বন্দরে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্যের বড় অংশ রয়েছে খাদ্যপণ্য ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত কেমিকেলজাত পণ্যের। এসব পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য ‘হ্যাজমেট’ মেশিন ব্যবহার করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমসের কেমিকেল ল্যাবের টেকনিশিয়ান তাপস জানান, মেশিন মেরামতের জন্য প্রায় ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা প্রয়োজন হলেও এনবিআরের কাছ থেকে এই বরাদ্দ মেলেনি। ফলে পণ্য পরীক্ষার কাজ খুলনা বা ঢাকার ল্যাবে পাঠাতে হচ্ছে, যা সময় ও ব্যয় বাড়াচ্ছে।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, “আমদানিকৃত মোট পণ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ কেমিকেল পণ্য। দ্রুত মেশিন মেরামতের জন্য এনবিআরের কাছে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে সি অ্যান্ড এফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলন বলেন, “রিপোর্ট পেতে প্রায় ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় লাগছে, আর প্রতিটি চালানের পরীক্ষায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। যেখানে বেনাপোল কাস্টমস থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়, সেখানে মেশিন মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ না থাকা খুবই দুঃখজনক।”
সংশ্লিষ্টরা জানান, পণ্য পরীক্ষার দেরি ও খালাস বিঘ্নিত হওয়ায় বন্দরে পণ্য আটকে থাকছে, যা পণ্যের মান ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং দেশের শিল্প উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।