মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্ধা (সাঘাটা-ফুলছড়ি):
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জুমারবাড়ী বাজারের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চরম অবহেলায় পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে এখন রাস্তাটি কাদা-পানির রূপ ধারণ করেছে, যা সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য মারাত্মক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কোরবানির ঈদে এই দুর্ভোগ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর ধরে রাস্তার বেহাল দশার কথা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও বাস্তব কোনো উন্নয়ন কার্যক্রম দেখা যায়নি। বরং বারবার বলা হয়েছে, “কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তার কাজ শুরু হবে”— অথচ কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। শুধু আশ্বাসে আটকে রয়েছে সংস্কার পরিকল্পনা।
এটি শুধু একটি বাজার এলাকার রাস্তা নয়—এই সড়ক দিয়েই ইউনিয়ন পরিষদসহ আশপাশের একাধিক গ্রামে যাতায়াত করে হাজারো মানুষ। অথচ বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি কাদা জমে থাকে, বড় বড় গর্তে ভরে যায় পুরো সড়ক। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং সাধারণ জনগণ পায়ে হেঁটে চলতে গিয়েও নানাভাবে বিপদে পড়ে।
বিভিন্ন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তার অবস্থা এমন যে ঈদের বাজার করতে আসা ক্রেতারাও ফিরে গেছেন কাদামাটির কারণে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না, রোগী নিয়ে বের হলে রিকশা বা অটোরিকশাও যেতে চায় না।”
তাদের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদ চাইলেই অন্তত কিছু বালু বা ইটের সুরকি ফেলে রাস্তাটি সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করতে পারত। এতে অন্তত স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, কৃষক, রোগী ও সাধারণ জনগণ কিছুটা স্বস্তি পেত।
তারা প্রশ্ন তুলেছেন—”সামান্য মেরামতের জন্য কি উপজেলা বা জেলা পরিষদের বিশেষ কোনো বাজেটের প্রয়োজন? ইউনিয়ন পরিষদের এতটাই কি সামর্থ্য নেই যে ২-৩ ট্রলি মাটি বা খোয়া ফেলা যায় না?”
স্থানীয় জনগণের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হোক। দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা না করে অন্তত জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক সংস্কার যেন বাস্তবায়ন হয়—এমন আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।