যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেইকে হত্যা করার সম্ভাবনা নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, তখনই স্পষ্ট হয়: রাশিয়া গভীর উদ্বেগে আছে।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি সতর্ক করেছেন—ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যোগ না দিতে। এই মন্তব্য শুধু কূটনৈতিক বার্তাই নয়, বরং মস্কোর এক গভীর উদ্বেগের প্রতিফলন, কারণ তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যীয় মিত্র ইরান এখন চরম ঝুঁকিতে।
রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক ২০২২ সালের ইউক্রেন যুদ্ধের পর আরও ঘনিষ্ঠ হয়। ২০২৫ সালের শুরুতে তারা একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে। ফলে, শুরুতে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধকে রাশিয়া সম্ভাব্য লাভের জায়গা ভাবছিল—যেখানে তারা মধ্যস্থতা করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুবিধা নিতে পারত।
পুতিনের পরিকল্পনা ছিল, ইরানকে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় ফেরানো, আর সেই বিনিময়ে ইউক্রেনে মার্কিন সমর্থন নিয়ে কিছু ছাড় আদায় করা। কিন্তু তেহরান কোনো আলোচনায় আগ্রহ দেখায়নি।
এদিকে ট্রাম্প যখন খামেনেইকে হত্যা নিয়ে হুমকি দেন, তখন মস্কো নিজেদের অবস্থান বদলায়। তারা বুঝতে পারে—সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইরানকেও হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এজন্য শুধু রিয়াবকভ নন, আরও অনেক শীর্ষ রুশ কর্মকর্তা এখন সরাসরি মন্তব্য করছেন। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিশকিন এই পরিস্থিতিকে “সঙ্কটজনক” বলে বর্ণনা করেছেন।