রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদের বেশি সময় দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সংলাপ বর্জন করে বেরিয়ে যান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও গণফোরাম।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় দফার সংলাপের তৃতীয় দিনের আলোচনার সূচনা হয়। মধ্যাহ্ন বিরতির পর আবার বেলা পৌনে তিনটায় সংলাপ শুরু হলে এক ঘণ্টা পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সংলাপ কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন,
“জামায়াতের তিনজনকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়েছে, অথচ আমাদের একজন বক্তাও বাধামুক্তভাবে কথা বলতে পারছে না। এটা পরিষ্কার বৈষম্য। আমরা প্রতিবাদ জানালে কমিশন তা নোট করেছে। তাই আবার সংলাপে ফিরছি।”
এর আগে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন,
“ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তারা নিরপেক্ষ না হলে সংলাপে ফেরা সম্ভব নয়।”
সিপিবি ও গণফোরাম নেতাদের সংলাপে ফেরাতে নিচে নেমে আসেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিএনপি-সমর্থিত এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহছান হুদা।
শাহাদাত সেলিম বলেন,
“তারা বলছেন জামায়াতকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমি বলেছি, আপনারা তো ১০ জন মানুষের প্রতিনিধিত্বও করেন না। আমরা কতজনের প্রতিনিধিত্ব করি তা সবাই জানে।”
তিনি আরও জানান,
“আমি ওয়াকআউট করিনি, বরং সমঝোতা করেছি।”
সবশেষে উভয় পক্ষ সংলাপে ফিরে আসেন এবং আলোচনা পুনরায় শুরু হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা সংলাপে ঐক্য এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই নতুন প্রশ্ন তুলে দিল।