অভিষেক শর্মার অভিষেকটাই শুধু ভুলে যাওয়ার মতো ছিল। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা করছেন তা এক শব্দে বললে অবিশ্বাস্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ‘ডাক’ মেরে ‘দাদাদের’ ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি ব্যাটার আজ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন।
অভিষেক প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন অভিষেক ম্যাচের পরেরটিতেই। ৪৬ বলে করেছিলেন তিনি। আজ দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটিও খুনে মেজাজে। জফরা আর্চার-মার্ক উডদের তুলোধুনো করে রেকর্ডও গড়েছেন তিনি।ভারতের দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে আরেক শর্মার পেছনে থাকলেন অভিষেক। দ্রুততম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে চূড়ায় আছেন সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তবে ২৭ বলে সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হচ্ছেন এস্তোনিয়ার ব্যাটার সাহিল চৌহান।অন্যদিকে পূর্ণ সদস্য দলের হিসাব ধরলে অভিষেকের সেঞ্চুরি দ্বিতীয় দ্রুততম। রোহিতের মতো সমান ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড মিলার।বলের হিসেবে পূর্ণ সদস্যের দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম হলেও অন্য এক পরিসংখ্যানে রেকর্ড সেঞ্চুরি করেছেন অভিষেক। ইনিংসের ১০.১ ওভারের মধ্যে আর কোনো ব্যাটার সেঞ্চুরি করতে পারেননি। আগের রেকর্ডটি ছিল কুইন্টন ডি কক।
২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যখন সেঞ্চুরি করেন তখন ওভার ছিল ১০.২।
সুযোগ অবশ্য ছিল পূর্বসূরিকে পেছনে ফেলার। কিন্তু শেষ দিকে কয়েকটা বল ডট দেওয়া তা আর হয়নি অভিষেকের। এর আগে ভারতের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও গড়েছেন ২৪ বছর বয়সী ব্যাটার। ১৭ বলে ফিফটি করেন তিনি। দ্রুততমের মালিক তার আইডল যুবরাজ সিং।
এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১২ বলে ফিফটি করেন যুবরাজ। বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেকে বিধ্বংসী ব্যাটার হিসেবে জানান দেওয়ার পেছনে ভারতের কিংবদন্তি অবদান সব সময় স্বীকার করেন
২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৯ বলে করেন তিনি।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ যেন ক্রিকেট বলকে ফুটবল দেখেন অভিষেক। যেদিকে ব্যাট চালান সেদিক দিয়েই বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হতে থাকে। আজ তার বাহু-আর ব্যাট থেকে যেন মুক্তিই মিলছে না ইংল্যান্ডের বোলারদের। অবশেষে যখন থামলেন তখন ৫৪ বল খেলে ক্যারিয়ারসেরা ১৩৫ রান করেন তিনি। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৩ ছক্কার বিপরীতে ৭ চারে।