অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক অবশেষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নিয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় লন্ডনের সেন্ট্রাল পার্ক লেনের অভিজাত হোটেল ‘দি ডচেস্টার’-এ শুরু হয় এই বৈঠক, যা প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সকাল ১১টা পর্যন্ত চলার কথা। চার দিনের সফরে এই হোটেলেই অবস্থান করছেন ড. ইউনূস। বৈঠকের নির্ধারিত সময় শুরুর আগেই সেখানে পৌঁছান তারেক রহমান, সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হুমায়ূন কবির।
এই বৈঠক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনটি ছবি শেয়ার করে সংক্ষিপ্ত এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ।” তার এই পোস্টই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এই আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ রূপরেখা, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন, প্রশাসনিক সংস্কার এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনের সম্ভাব্য পথ খোঁজা হয়েছে। যদিও বৈঠকের আনুষ্ঠানিক বিবরণ এখনো প্রকাশ পায়নি, তবে অংশগ্রহণকারী নেতাদের উপস্থিতি এবং সময়ের গুরুত্ব ইঙ্গিত দেয় যে, এটি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়—বরং বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
সামগ্রিকভাবে এই বৈঠককে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের সূচনাবিন্দু হিসেবেই দেখছেন অনেকে।