মনির হোসেন, বেনাপোল:
নতুন রূপে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস। ভ্যারিয়েন্টটির নাম ‘কোভিড-ওমিক্রন এক্সবিবি’। যদিও বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে এখন পর্যন্ত কারও দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়নি, তবে স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
৮ জুন, রোববার সকাল থেকেই বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আসা প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল। তিনি জানান, “ঢাকা ও রাজশাহীতে ইতিমধ্যে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কয়েকজনের খবর পাওয়া গেছে। তাই বেনাপোল সীমান্তে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই ব্যবস্থা।”
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা বলেন, “এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগের চেয়েও বেশি সংক্রমণক্ষম ও মারাত্মক। তাই জনাকীর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলা, মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস জীবাণুমুক্ত রাখা জরুরি।”
স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা:
- জনসমাগম এড়িয়ে চলা
- মাস্ক বাধ্যতামূলক
- অন্তত ১.৫ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা
- দরজার হাতল, সুইচ, মোবাইল ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত রাখা
- সাবান ও পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক ব্যক্তি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বুধবার (৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ৮টার মধ্যে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ সময় ২১টি নমুনা পরীক্ষা করে তিন জনের দেহে কোভিড শনাক্ত হয়।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রীদের পরীক্ষা চলছে। চেকপোস্ট এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে আগাম সতর্কতা হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, এক্সবিবি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা কঠিন হলেও সংক্রমণ হলে অল্প সময়েই রোগী দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন, যা এটিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।