মারুফ সরকার, প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ও ভিজ্যুয়াল ডিজাইনের অঙ্গনে আরও এক গৌরবোজ্জ্বল অর্জন যুক্ত হল দেবাশীষ দাসের ঝুলিতে। টেলিভিশন গ্রাফিক্স ও ডিজিটাল মিডিয়ায় সৃজনশীল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেছেন ‘বেস্ট ইন ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ২০২৪’ সম্মাননা, যা প্রদান করেছে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান লেজার ট্রিট।
গত রবিবার রাজধানীর উত্তরায় আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে পুরস্কারটি তুলে দেন লেজার ট্রিটের কর্ণধার ও বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ড. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতিমান ব্র্যান্ড বিশেষজ্ঞ, কর্পোরেট নেতা ও মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
লেজার ট্রিট-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুধুমাত্র একজন গ্রাফিক ডিজাইনার নয়, একজন দক্ষ ব্র্যান্ড স্টোরিটেলার হিসেবেও দেবাশীষ দাস নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভিজ্যুয়াল ভাষা ও ব্র্যান্ড আবেগকে সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরার যে মুন্সিয়ানা তিনি দেখিয়েছেন, তা তাঁকে করেছে অনন্য।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি টেলিভিশন প্রোগ্রাম ব্র্যান্ডিং, ডিজিটাল কনটেন্ট কমিউনিকেশন এবং মাল্টি-প্ল্যাটফর্ম ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটির ক্ষেত্রে এনেছেন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। তাঁর সৃষ্টিশীল নেতৃত্ব এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন জগতে।
২০০৭ সালে আরটিভিতে মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা দেবাশীষ দাস পরবর্তীতে যমুনা টিভি ও মাছরাঙা টেলিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মাছরাঙা টেলিভিশনের ডেপুটি ম্যানেজার (গ্রাফিক্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষাক্ষেত্রেও তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও ফটোগ্রাফি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক এবং আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট-এ নিয়মিত পাঠদান করছেন।
টেলিভিশন শিল্পের বাইরেও তাঁর উপস্থিতি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশের বই প্রকাশনা শিল্পে দুই শতাধিক বইয়ের প্রচ্ছদ ডিজাইনের মাধ্যমে রেখেছেন অনন্য ছাপ। একইসঙ্গে রিয়েল-টাইম গ্রাফিক্স, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি ও ভার্চুয়াল সেট প্রযুক্তির প্রবর্তনেও রেখেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।
পুরস্কারপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে দেবাশীষ দাস বলেন,
“এই স্বীকৃতি যেমন অনুপ্রেরণা যোগায়, তেমনি দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দেয়।”
নীরব অথচ নিরলস এই কারিগর আজও উদ্ভাবন, শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে মিডিয়া এবং সমাজে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি কেবল একজন গ্রাফিক্স বিশেষজ্ঞ নন—তিনি এক পথপ্রদর্শক, ভবিষ্যৎ নির্মাতা এবং বাংলাদেশের গর্বিত প্রতিনিধি।