মো: দিল, সিরাজগঞ্জ:
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই তীব্র হয়ে উঠেছে যমুনা নদীর ভাঙন। গত তিন সপ্তাহ ধরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারীসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে ভয়াবহ নদীভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও গাছপালা। ভাঙনের তীব্রতায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের সহস্রাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, যমুনার পূর্ব তীরে নতুন চর জেগে ওঠায় পানির স্রোত এখন পশ্চিম তীরের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যার ফলে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হলেও তা তেমন কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে যমুনা নদীর পানি প্রায় ১৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এখনও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তবুও নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহেই শত শত বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।
স্থানীয় সমাজসেবক শেখ মো. এনামুল হক বলেন, “প্রতি বছর বর্ষার সময় ভাঙন দেখা দেয়, কিন্তু এবার বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।”
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, “ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে দ্রুত আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
ভাঙন প্রতিরোধে স্থানীয়রা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মো: দিল
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি