বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোর জেলা ছাত্রদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাফার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফি ও বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন কুমিল্লার এক তরুণী।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।
মামলার অভিযোগে তিনি জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ফেসবুকে ‘আড়ঁৎব জধভধ’ নামে একটি আইডি থেকে তার সঙ্গে সাইফুল ইসলামের পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ চলতে থাকে এবং একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাফা।
ভুক্তভোগীর দাবি, ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর সাইফুল ইসলামের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ঢাকা থেকে যশোরে আসেন। সেদিন বিকেলে মণিহার সিনেমা হলের সামনে থেকে রাফা তাকে যশোর আইটি পার্কে নিয়ে যান এবং সন্ধ্যায় পার্কের একটি কক্ষে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একই সময় গোপনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করা হয়।
পরে সেই ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিয়ে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার একটি অ্যাকাউন্টে দুই লাখ টাকা দাবি করেন রাফা। ভয়ে তিনি টাকা পাঠান। এরপর আরও বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় তিন লাখ টাকা এবং সরাসরি আরও তিন লাখ দশ হাজার টাকা দেন বলে জানান ওই তরুণী। সবমিলিয়ে প্রায় আট লাখ দশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, গত ২৩ মে রাতে ওই তরুণী তার এক বান্ধবীকে নিয়ে রাফার যশোরের শংকরপুর এলাকার বাড়িতে যান। রাফার বাবা-মা সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরে রাফা তার বন্ধুদের মাধ্যমে হুমকি দেন এবং তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তরুণী থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম রাফা জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তবে ধর্ষণ বা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি দাবি করেন, ওই তরুণীর অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন, এরই জেরে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, “মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার কিছু সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।”