দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরাসরি নির্দেশনা অমান্য করে পচা ও নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে গ্রামীণ রাস্তার নির্মাণ কাজ। সরেজমিনে দেখা যায়, রোলার ছাড়াই ভেকু দিয়ে কাটা রাস্তার ওপর অল্প বালু ফেলে শুরু হয়েছে হেরিংবন্ড রাস্তা নির্মাণ। অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘গাজী এন্টারপ্রাইজ’ এই কাজ করছে সস্তা ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে।
জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিবি (ADB) অর্থায়নে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্পের আওতায় ১ কিমি দৈর্ঘ্যের রাস্তা নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদার নুরুজ্জামানের প্রতিষ্ঠান ‘গাজী এন্টারপ্রাইজ’। রাস্তা দুটি হচ্ছে—শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে তারাগাজীর বাড়ি থেকে খানবাড়ি মসজিদ হয়ে দক্ষিণে কচ্ছপিয়া খাল পর্যন্ত এবং ২নং ওয়ার্ডের এনায়েত খানের মসজিদ থেকে বাদুয়া পাকা সড়ক পর্যন্ত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণ শুরুর পর থেকেই মানহীন ইট ও বালু দিয়ে কাজ চলছে, যা টেন্ডারের শর্তভঙ্গের সামিল। এলাকাবাসীর প্রতিবাদ এবং ইউএনও’র হস্তক্ষেপেও বন্ধ হয়নি এই অনিয়ম। ইউএনও আবুজার মোঃ ইজাজুল হক গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও একদিন পরই পুরনো নিয়মে আবার কাজ শুরু হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (PIO) মোহাম্মদ আলী বলেন,
“ঠিকাদারকে ২০ মে তারিখে শোকজ করা হয়েছে। তাকে নিম্নমানের ইট সরিয়ে কোড অনুযায়ী এক নম্বর ইট ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিল কেটে রাখা হবে বা রাস্তা ভেঙে পুনরায় নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে ঠিকাদার নুরুজ্জামান দাবি করেন, কাজটি তিনি সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন পটুয়াখালীর দুই যুবদলকর্মী আমির হোসেন ও জুয়েলকে। তিনি বলেন,
“তাদের বলেছি ইউএনওর নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করতে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজার মোঃ ইজাজুল হক বলেন,
“কোনোভাবেই দুই নম্বর ইট ব্যবহার চলবে না। ভাঙা রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। তা না হলে বিল আটকে দেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, এই অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে টেকসই ও মানসম্পন্ন রাস্তা নির্মাণ নিশ্চিত করা হোক।
প্রতিবেদক:
মো. সুমন মৃধা