ভারতের পক্ষ থেকে আখাউড়া ও ডাউকি স্থলবন্দরসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্যের আমদানিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্তে ভারতের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এখনো ভারতের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি। সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পরই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করি, ভারত নিজেই একটি সমৃদ্ধ বস্ত্র শিল্পের দেশ। এরপরও তারা বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করে—এটি আমাদের শিল্পের সক্ষমতারই প্রমাণ।”
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ না করে তিনি বলেন, “বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দুই দেশই সময় সময় দিয়ে থাকে, যেমন আমরা কৃষিপণ্য আমদানিতে দিয়েছি, ভারতও দেয়। তবে সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।”
বাণিজ্যের প্রসার ও ঘাটতি কমানো প্রসঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমরা বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি উদার বাণিজ্যে বিশ্বাসী। ব্যবসা ও ভোক্তাদের স্বার্থে বাণিজ্য ইনক্লুশন ছাড়া কোনো রাস্তা দেখি না।”
তিনি ট্রান্সশিপমেন্ট প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা নিজের সক্ষমতা দিয়েই সমস্যা মোকাবিলা করছি। আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা এবং পরিবহণ ব্যয় তুলনামূলক কম হওয়ায় এ অঞ্চলে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি।”