কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুইজন। আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় বিপদসীমার মধ্যে থাকা অন্তত এক হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দাবানল মোকাবেলা কঠিন হয়ে পড়ছে, কারণ এলাকা জুড়ে প্রবল গরম, শুষ্কতা ও দমকা বাতাস বিরাজ করছে।
রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (RCMP) কর্মকর্তা ক্রিস হ্যাস্টি জানান, নিহত দুই ব্যক্তি আগুনে আটকা পড়েছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই চরম ছিল যে, জরুরি সহায়তাদানকারী দল বুধবার সকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। নিহতরা ম্যানিটোবার ল্যাক-ডু-বোনেট অঞ্চলের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ম্যানিটোবা সরকার জানায়, প্রদেশটিতে বর্তমানে ২৪টি সক্রিয় দাবানল রয়েছে, যার মধ্যে অন্তত পাঁচটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডায় দাবানলের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তবে মৃত্যুর ঘটনা এখনো তুলনামূলকভাবে বিরল। ২০২৩ সালে দেশটিতে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল মৌসুম দেখা গিয়েছিল, যেখানে কয়েকজন দমকলকর্মী প্রাণ হারিয়েছিলেন।

দাবানলের কারণে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে ঘন ধোঁয়া, যা শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আশেপাশের এলাকাগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে দমকল বাহিনী, বিমান, ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে নতুন করে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।
কানাডার পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে এমন ভয়াবহ দাবানলের ঘটনা আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে।