আঃ রাজ্জাক, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার রাঘবপুর চৌমুহনী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী জহুরুল ইসলামকে মনোনীত করায় এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও অসন্তোষ।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড গঠিত চার সদস্যের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হয়েছেন জহুরুল, যিনি কালাই ডিগ্রি কলেজে পিয়ন পদে কর্মরত। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ পদে বসেছেন।
বোর্ডের অনুমোদিত কমিটিতে অন্য সদস্যরা হলেন—
- প্রধান শিক্ষক (পদাধিকারবলে সচিব)
- অভিভাবক সদস্য জিয়াউল ইসলাম
- শিক্ষক প্রতিনিধি সেলিনা আক্তার
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হকের স্বাক্ষরে গত ২১ এপ্রিল এই কমিটির অনুমোদন দিয়ে চিঠি পাঠানো হয় বিদ্যালয়ে।
জহুরুল ইসলাম বলেন, “আমি যোগ্য ছিলাম বলেই আবেদন করেছি, বোর্ড বিবেচনা করেছে। চাকরি করলেই কি আমি সভাপতি হতে পারি না?”
তবে বিএনপির স্থানীয় নেতা ও কারাবন্দি ফোরকান অভিযোগ করেন,“আমরাই এই স্কুলের জমি দিয়েছি, কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছি। আজ সেটির নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিনফুজুর রহমান মিলনের আত্মীয়। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেকে প্রধান শিক্ষক বানিয়েছেন এবং সম্প্রতি অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব, কালাম, ইজার আলী ও জলিল বলেন, “ওয়াহেদ মাস্টার ছিলেন বিদ্যালয়ের মূল উদ্যোক্তা। এখন একজন পিয়নকে সভাপতি করায় প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, “আমরা বোর্ডে তিনজনের নাম পাঠিয়েছিলাম। বোর্ড তাদের মধ্য থেকে জহুরুলকে বেছে নিয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ করে লাভ নেই, কাল দেখা করুন।”
এদিকে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, “বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছেন।