সদরুল আইন
সিলেট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা কমিটির চার নেতার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন একই সংগঠনের এক নেত্রী। বুধবার (১৪ মে) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে এ মামলাটি করা হয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা কারা?
মামলার আসামিরা হলেন:
- সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম,
- যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান আহমদ ওরফে খুরশেদ (২৭),
- যুগ্ম সদস্যসচিব ফখরুল হাসান (২৫),
- এবং রেদোয়ান মুনসি (২৬)—যিনি অভিযুক্তদের দাবি অনুযায়ী কমিটির সদস্য নন।
মামলার অভিযোগ কী?
মামলার বাদী নেত্রী অভিযোগ করেছেন, সংগঠনের তহবিলের হিসাব চাওয়ায় অভিযুক্তরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন। তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দিতে থাকেন।
গত ১০ এপ্রিল অভিযুক্তরা ও আরও ৭–৮ জন তাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে ৭ মে তাকে অপহরণ, খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর ৮ মে তিনি সিলেট মহানগর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং এরপর আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। থানার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।”
অভিযুক্তদের বক্তব্য
মামলায় অন্যতম আসামি নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “মামলায় যে চারজনের নাম দেওয়া হয়েছে, তাদের একজন রেদোয়ান মুনসি আমাদের সংগঠনের কেউ নন। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
তিনি আরও বলেন, “কেউ চাইলে মামলা করতেই পারেন, তবে তা প্রমাণ করতে হবে। এটি আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করার একটি অপচেষ্টা মাত্র।”