বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের ঘটনা ইতিহাসে এই প্রথম বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ মে) জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে দায়ের করা আপিল শুনানির সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, যাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
এছাড়া আদালত কক্ষে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের এবং অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা জামায়াতে ইসলামীর আপিল খারিজ হয়ে যায় আইনজীবী অনুপস্থিত থাকার কারণে। এরপর দলটি আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে, যা আদালত ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাওয়ার জন্য আইনগত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
সবশেষ ৭ মে আদালত জানায়, শুনানির জন্য ১৩ মে দিন ধার্য থাকবে। সেই অনুযায়ী আজ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটাই ইতিহাসে প্রথম, যেখানে হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।”