🔶 অর্থ ও ব্যাখ্যা:
এই প্রবাদটি বাংলা সাহিত্যে ও কথ্য ভাষায় বহুল ব্যবহৃত। এটি মূলত এমন এক ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যিনি অসৎপথে চলেন বা যিনি বারবার অনৈতিক কাজ করে থাকেন এবং যাকে আপনি যতই ভালো পরামর্শ, সদুপদেশ, বা ধর্মীয় নীতিকথা বলুন না কেন—তিনি তা শুনবেন না, গ্রহণও করবেন না।
চোর এখানে কেবলমাত্র সত্যিকার অর্থে চোর নয়, বরং প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে—অর্থাৎ, এমন ব্যক্তি যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল কাজ করে চলেছেন।
“ধর্মের কাহিনি” বলতে বোঝানো হয়েছে নীতিনিষ্ঠ জীবন, সততা, ন্যায়, মানবতা, কিংবা ধর্মীয় শিক্ষার কথা—যা মানুষকে সৎ পথে চলার নির্দেশ দেয়।
তবে যখন কেউ নিজেই দুর্নীতিপূর্ণ পথে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন সে এই নীতিকথাগুলোর কোনো মূল্যই দেয় না। বরং, সে ভাবতে পারে এগুলো দুর্বলদের জন্য, বা বাস্তব জীবনে এসবের কোনো গুরুত্ব নেই। এটাই এই প্রবাদের মূল বক্তব্য।
🔶 উদাহরণ:
- ধরো, একজন ব্যবসায়ী প্রতারণার মাধ্যমে লাভ করছে। তাকে যদি তুমি সততার কথা বলো, সে হয়তো হেসে উড়িয়ে দেবে। এই অবস্থায় বলা যায়—
“ওর মতো চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনি!” - একজন ছাত্র নিয়মিত নকল করে পরীক্ষা দেয়। শিক্ষক যতই নৈতিকতা শেখাক, সে কিছুতেই বদলায় না। সেখানেও এই প্রবাদ ব্যবহার হয়।
🔶 নৈতিক শিক্ষা:
এই প্রবাদটি আমাদের শেখায় যে, শুধুমাত্র সদুপদেশ দিলেই চলবে না—যদি কেউ নিজেই পরিবর্তন হতে না চায়, তাহলে কোনো পরামর্শই তার কাছে ফলপ্রসূ হবে না। তাই নৈতিকতার শিক্ষা শুধু মুখের কথা নয়, তা আত্মস্থ করাটাই আসল।