প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে আমেরিকায় আমদানি করা সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ৮০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। শুক্রবার (১০ মে) ট্রাম্প তার সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ প্রস্তাব দেন। তার মতে, ৮০ শতাংশ শুল্কারোপ চীনের জন্যও ভালো হবে এবং এটি বিশ্বের জন্যও উপকারী।
চলতি সপ্তাহের শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে দুই দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা আলোচনা করবেন। এর আগেই ট্রাম্পের এই শুল্ক কমানোর প্রস্তাব এসেছে। তিনি বলেছেন, চীনের উচিত তাদের বাজার আমেরিকার জন্য উন্মুক্ত রাখা, কারণ বন্ধ বাজার এখন আর কার্যকরী নয়।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, চীন যদি এই প্রস্তাব মেনে নেয়, তবে এটি শুধু চীনের জন্য ভালো হবে না, বরং বিশ্ব বাণিজ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি জানান, এটি আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে এবং শুল্ক কমানো দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করবে।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব ১৪৫ শতাংশ শুল্কের তুলনায় অনেক বেশি উদার হলেও, চীনও এর বিনিময়ে কিছু ছাড় দিতে বাধ্য হবে। বর্তমানে, আমেরিকা চীন থেকে বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে, যার মধ্যে গত মাসে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পাল্টা জবাবে চীনও ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
এছাড়া, ১৪৫ শতাংশ শুল্কের কারণে আমদানির পরিমাণও কমে গেছে। বিশেষ করে, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের পরিমাণ লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।
চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের অভিযোগে ট্রাম্প ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে, সম্প্রতি তিনি চীনের ওপর শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের শুল্কারোপের কৌশলকে নিন্দা জানিয়েছে, তবে তা সত্ত্বেও এই আলোচনাকে অনেকেই দুই দেশের বাণিজ্য সংঘাত সমাধানের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।