ভারতের জম্মু, পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আজ শনিবার ভোরে পাকিস্তান থেকে চালানো ভারী গোলাবর্ষণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, রাজৌরি জেলার অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার (ADC) রাজ কুমার থাপার সরকারি বাসভবনে একটি গোলা আঘাত করলে তিনি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা দুজন কর্মচারী গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাঁদের দ্রুত জম্মু সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাপার মৃত্যু হয়। তাঁর দুই সহযোগী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
৫৫ বছর বয়সী রাজ কুমার থাপা সরকারি প্রশাসনে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে জম্মু সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন এবং পরে প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত হন। ঘটনার আগের দিন তিনি জেলা সফরকারী উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি সরকারি পরিদর্শনে অংশ নিয়েছিলেন। সেই দিনই তিনি রাজ্য প্রশাসনের একটি অনলাইন বৈঠকেও যুক্ত ছিলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স (সাবেক টুইটার)–এ শোক জানিয়ে লেখেন, “এমন একজন নিবেদিতপ্রাণ সরকারি কর্মকর্তাকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক।” তিনি সবাইকে গুজবে কান না দিতে ও সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, এই গোলাবর্ষণের ঘটনা পাকিস্তান থেকে চালানো টানা দ্বিতীয় রাতের ড্রোন হামলার পরপরই ঘটেছে। পাকিস্তানের ড্রোনগুলো ভারতের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF) পাল্টা হামলা চালায় এবং শ্রীনগরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেয়। এতে পাকিস্তান পক্ষেও উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উত্তেজনা চরমে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি ঘরে অবস্থান করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।