শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নির্দেশ প্রদানের ৫ ঘন্টার মধ্যেই নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৭ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধায় সৈয়দপুর বিমানবন্দর এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
এর আলোকে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। রাতভর এই অভিযানে শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পদস্ত ২ জন নেতাসহ ৩ জন সমর্থক এবং রেলওয়ে শ্রমিকলীগের ২ জন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আমিনুল ইসলাম, ফয়েজ আহমেদ, মাহবুব আলম, আলতাফ হোসেন, রশিদুল হক, সাজিদুর ইসলাম ওরফে সাজু মোল্লা ও জুলফিকার আলী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা হলেন, প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম (৪৮)। তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের হাতিখানা এলাকার মৃত তইজ উদ্দিন প্রধানের ছেলে। এবং সহ-দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ (৪৮)। তিনি উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মৃত মইজুল হকের ছেলে এবং দৈনিক মুক্ত ভাষা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা শাখা শ্রমিক লীগের প্রচার সম্পাদক মো. মাহবুব আলম (৩৮) ওরফে জামাই মাহবুব। তিনি শহরের পৌর ৩ নং ওয়ার্ড রসুলপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত ফারুক হোসেনের ছেলে। মাহবুব রেলওয়ে শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের জামাতা হিসেবে বহুল পরিচিত।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থক উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ মাঝাপাড়ার মৃত শালাউদ্দিনের ছেলে মো. রশিদুল হক (৪৮), একই ইউনিয়নের আইসঢাল পীরপাড়ার আব্দুল মান্নান খন্দকারের দুই ছেলে সাজিদুর ইসলাম ওরফে সাজু মোল্লা (৩৩) ও জুলফিকার আলী (৪৬) এবং সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক লীগের সদস্য মো. আলতাফ হোসেন (৫৪)। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহাগোলা এলাকা মৃত দারাজ আলীর ছেলে।
আটক ৭ জনকেই গত ৩ আগস্ট সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির অফিসে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে হামলা, ভাঙ্চুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই মামলাটি করেছেন সৈয়দপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিকুর রহমান বাবলু। মামলা ন ২০।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন জানান, গত রাতে অভিযানে আটক ব্যক্তিরা বিএনপির মামলার তদন্তে সন্দিগ্ধ আসামী। তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নীলফামারীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।