প্রতিবেদক: ওমর ফারুক হৃদয়
বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে এক সময়ের আলোচিত নাম ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন। এক সময়ের সাহসী ও বিতর্কিত পথ চলা এখন নতুন মোড় নিয়েছে—রাজনীতি। স্বাস্থ্যসেবা থেকে নেতৃত্বের বৃহত্তর মঞ্চে পা রেখে তিনি শুরু করেছেন এক নতুন অধ্যায়, যেখানে লক্ষ্য জনকল্যাণ, নারীর অগ্রগতি এবং তরুণ সমাজের ক্ষমতায়ন।
চিকিৎসাক্ষেত্রে নারীর নেতৃত্ব: এক প্রগতিশীল সূচনা
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে রেজিস্ট্রার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন ডা. সাবরিনা। এক নারীর জন্য এই বিশেষায়িত ও পুরুষ-প্রধান শাখায় কাজ করা ছিল চ্যালেঞ্জের, কিন্তু তিনিই হয়ে উঠেন প্রেরণা। করোনা মহামারির সময়েও তিনি ছিলেন সক্রিয়। প্রান্তিক মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে তিনি যুক্ত ছিলেন নানা সামাজিক উদ্যোগে।
রাজনীতির মঞ্চে নতুন যাত্রা
২০২৪ সালের শেষ প্রান্তে ডা. সাবরিনা যুক্ত হন একটি উদার ও মানবিক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে। তার ভাষায়:
“রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতা নয়—এটা হতে পারে মানুষের জন্য কাজ করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।”
তার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রয়েছে স্বাস্থ্যসচেতনতা, নারী অধিকার এবং তরুণ নেতৃত্ব গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। ইতোমধ্যে তার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত হয়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্প ও নেতৃত্ব বিকাশ কর্মশালা।
বিতর্ক থেকে উত্তরণ: ব্যর্থতাকে রূপান্তর
জীবনের বিতর্কিত অধ্যায় প্রসঙ্গে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিণত:
“জীবনে খারাপ সময় আসবে এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোনোটাই বড় কথা। আমি এখন চাই, আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে।”
নারীর এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা
ডা. সাবরিনার যাত্রা আজ একক ব্যক্তির গল্প নয়—এটা হয়ে উঠেছে লক্ষ লক্ষ নারীর অনুপ্রেরণা। সমাজের চোখে যাকে হয়তো ভিন্নভাবে দেখা হয়েছিল, সেই মানুষটিই আজ প্রমাণ করছেন, সংগ্রাম আর দায়িত্ববোধ মিললে নারীর সামনে সব পথ খোলা।
শেষ কথা
চিকিৎসা থেকে রাজনীতি—ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনের পথচলা আমাদের শেখায়, মানুষ চাইলেই নিজের অতীতকে পেছনে ফেলে গড়ে তুলতে পারে নতুন একটি পরিচয়। মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থাকলে পথ খুঁজে নেওয়া সবসময়ই সম্ভব। তার আগামী দিনের যাত্রা হোক স্বচ্ছ, সৃজনশীল ও দেশসেবায় অনুপ্রাণিত—এই শুভকামনাই।