এস এম হাবিবুল হাসান :
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাহমুদুল হক বলেন, সাতক্ষীরায় পৌনে একলক্ষ মামলা পেন্ডিং আছে।সেই মামলার কারণে প্রতিদিন দুর দরান্ত থেকে শত শত মানুষ আদালত প্রাঙ্গণে আসেন।তাদের বসার, পানাহার,বিশ্রাম ও বাথরুম ব্যবহার নিশ্চিত করনে দেশের অন্য জেলার ন্যায় এখানেও ন্যায়কুঞ্জ নির্মিত হয়েছে।যেটি আলাদতে আগত সেবাপ্রার্থীদের আলাদাভাবে সেবা নিশ্চিত করবে।এছাড়া জোটকৃত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।জোটকৃত মামলাগুলো একদিনে হয় না।এগুলো শতবছরের মামলা জোট, যখন থেকে বিচারব্যবস্থা শুরু সেখান থেকেই এই মামলাজোট।একসময় একটা জেলায় এক-দুজন বিচারক থাকতো কিন্তু বর্তমানে সেই ব্যবস্থা অনেক উন্নত।এখন মামালার চেয়ে মামলার নিষ্পত্তির সংখ্যা বেশি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোমবার(৫ মে) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা আদালত প্রাঙ্গণে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত ন্যায়কুঞ্জের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাহমুদুল হক একথাগুলো বলেন।
সাতক্ষীরার আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাহমুদুল হক,সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ মো.নজরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক,জেলা সরকারী কৌশলী অসিম কুমার মন্ডল,জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুস সাত্তার সহ বিজ্ঞ বিচারক ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন শেষে তিনি আদালত প্রাঙ্গণে একটি নিম গাছের চারা রোপন করেন এবং নতুন তৈরিকৃত ন্যায়কুঞ্জটির পরিবেশ ঘুরে দেখেন।