শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরায় সাড়ে ৮ টন অপরিপক্ক ক্যামিক্যাল মিশ্রিত আম বিনষ্ট করা হয়েছে। শনিবার (০৩ মে) সকালে সাতক্ষীরা দেবহাটা থেকে ট্রাকে করে চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা আমবাহী যশোর -ট-১১-৪৮০৭ নম্বরের ট্রাকটি শনাক্ত করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শহরের বাইপাস এলাকা থেকে প্রায় ৪১৭ ক্যারেট অপরিপক্ক আমসহ ট্রাকটি জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল সাড়ে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ ও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. মনির হোসেন এর উপস্থিতিতে আম গুলো কেরোসিন ও বুলডোজ্বার দিয়ে ধ্বংস করা হয়। আম পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত যশোর-ট-১১-৪৮০৭ ট্রাকটি জব্দ করে থানা দেওয়া হয়।
এবং আম পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ৪১৭ টি ক্যারেট ওপেন নিলামের মাধ্যমে ৬৭,৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ০৫ মে থেকে সাতক্ষীরায় গোবিন্দভোগ আম বাজারজাতের একটি নির্ধারিত সময়সীমা রয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় নির্দিষ্ট তারিখের আগেই আম বাজারজাতের চেষ্টা করছিলেন। জনস্বার্থে আমরা সেই চেষ্টাকে প্রতিহত করেছি। প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার আম বিনষ্ট করা হয়ে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অভ্যত থাকবে।
প্রসঙ্গত : গত ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রসশসকের মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সাথে মতবিনিয় সভার মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলার আমের ক্যালেন্ডার ঘোষণা করেন। আম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৫ মে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখী ও স্থানীয় জাত, ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ল্যাংড়া ও ০৫ মে আম্রপালি আম গাছ থেকে নামানো ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। তা ছাড়া এর আগে যদি বাগানের কোন গাছে আম পেকে যায় এবং নামানোর প্রয়োজন হয় তবে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে আম বাজারজাত করতে পারবে বলে জানানো হয়।