ফরিদপুরে যুবলীগের এই আকস্মিক মিছিল অনেক larger বার্তা বহন করছে। একটি দীর্ঘ নিষ্ক্রিয়তার সময় পর মাঠে সক্রিয় হওয়া যেমন দলের মনোবল পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দেয়, তেমনি এটি প্রশাসনের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সমন্বয়হীনতার আভাসও দেয়। মিছিলটি যদি স্থানীয় প্রশাসনের অজান্তেই হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠছে— প্রশাসন কি সচেতনভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান নিচ্ছে, নাকি এটি সাময়িক শৈথিল্য?
দ্বিতীয়ত, এই মিছিল “শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে” স্লোগানের মাধ্যমে রাজনৈতিক পুনর্জাগরণের আহ্বান যেমন জানায়, তেমনি বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তা নতুন সংঘাত বা উত্তেজনার ইঙ্গিতও দিতে পারে। যারা দীর্ঘদিন সংগঠনে নিষ্ক্রিয় ছিলেন, তাঁদের হঠাৎ রাজপথে সক্রিয় হওয়া তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক মেরুকরণকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো— যদি প্রশাসন এরকম কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত না থাকে, তবে ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে কি না। একটি দলীয় মিছিল, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ও বর্তমান নেতারা, তা প্রশাসনের অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হওয়া রাষ্ট্রযন্ত্রের নজরদারির দুর্বলতা হিসেবে ধরা যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীলতা এবং প্রশাসনের সক্রিয় তদারকি— দুই-ই গুরুত্বপূর্ণ। নচেৎ এমন কর্মসূচি ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিতে পারে।