যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা দিয়েছে, যৌন অপরাধে দণ্ডিত আশ্রয়প্রার্থীদের আর দেশে থাকার অধিকার দেওয়া হবে না।
বর্তমানে সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধী এবং এক বছরের বেশি দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীরা রিফিউজি কনভেনশন অনুযায়ী আশ্রয় প্রত্যাখ্যাত হতে পারেন। নতুন পরিবর্তনে, যুক্তরাজ্যে যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ও যৌন অপরাধীদের নিবন্ধনে থাকা ব্যক্তিরা — শাস্তির মেয়াদ নির্বিশেষে — আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবেন।
হোম সেক্রেটারি ইয়েভেট কুপার বলেন, “এই নীতির মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করবো যে ভয়াবহ অপরাধগুলোকে যথাযোগ্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” তবে কনজারভেটিভ পার্টি একে “অত্যন্ত দেরিতে নেওয়া অপ্রতুল পদক্ষেপ” বলে সমালোচনা করেছে।
বর্ডার সিকিউরিটি, অ্যাসাইলাম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন বিল-এ সংশোধনীর মাধ্যমে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে আলোচিত মামলার মধ্যে রয়েছে আব্দুল ইজেদির ঘটনা, যিনি যৌন অপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও ২০২০ সালে আশ্রয় লাভ করেছিলেন। গত বছর লন্ডনে তার বিরুদ্ধে সাবেক প্রেমিকাকে অ্যাসিড দিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে, যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি আত্মহত্যা করেন।
নতুন সংশোধনী অনুযায়ী:
- বিদেশি অপরাধী বা সরকারি অর্থায়নে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের আপিলের সিদ্ধান্ত ২৪ সপ্তাহের মধ্যে নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
- আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে সময় বাঁচানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
- ভুয়া ইমিগ্রেশন আইনজীবী বা জালিয়াতির সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে £১৫,০০০ পর্যন্ত জরিমানার বিধান আনা হচ্ছে।
- বিদেশি অপরাধীদের জন্য ইলেকট্রনিক ট্যাগ, রাত্রিকালীন কারফিউ এবং নির্দিষ্ট এলাকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
রিফিউজি কাউন্সিল এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেও, AI ব্যবহারের ফলে ভুল সিদ্ধান্তের ঝুঁকি এবং বিচার ব্যবস্থার অতিরিক্ত চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
কনজারভেটিভ পার্টি দাবি করেছে, এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয় এবং তারা আরও কঠোর আইনি সংস্কারের পক্ষে রয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, লেবার পার্টি তাদের প্রস্তাবিত কঠোর পদক্ষেপগুলোর বিরোধিতা করেছে এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে লেবারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।