ইয়েমেনের সাদা অঞ্চলের একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে ভয়াবহ মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৬৮ জন আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন এবং আরও ৪৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আল মাসিরাহ টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার রাতে এই হামলা চালানো হয়। ধ্বংসস্তূপের মাঝে ছড়িয়ে থাকা মরদেহের মর্মান্তিক ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
ঘটনার পরপরই মার্কিন বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে জানা গেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদারের নির্দেশের পর থেকে ইয়েমেনে ৮০০টিরও বেশি স্থানে আক্রমণ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে আফ্রিকান অভিবাসীদের ওপর এই হামলা ছিল অন্যতম ভয়াবহ।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, হামলার সময় আটক কেন্দ্রে প্রায় ১১৫ জন আফ্রিকান অভিবাসী অবস্থান করছিলেন। এসব অভিবাসীর অধিকাংশই নৌকায় করে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে পৌঁছায়, তাদের লক্ষ্য ছিল কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে প্রবেশ করা।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, এসব অভিবাসী পথে শোষণ, আটক, সহিংসতা এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকার ভেতর দিয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করতে বাধ্য হন। ২০২৪ সালেই প্রায় ৬০,৯০০ আফ্রিকান অভিবাসী ইয়েমেনে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে হুথি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে মার্কিন ও ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে। তারা দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে এবং একটি জাহাজ জব্দ করেছে, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।