মুহ. মিজানুর রহমান বাদল, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সমবায় সমিতির নামে দু’সহস্রাধিক গ্রাহকের প্রায় ২ শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে আ’লীগের ৩ নেতা। টাকার দাবিতে উত্তর জামশা এলাকায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা মানববন্ধন করেছে। পরে তিন বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার জামশা ইউনিয়নে দক্ষিণ জামসা গ্রামে দিনব্যাপী চলে তান্ডব।
স্থানীয়রা জানায়, সহস্রাধিক গ্রাহকের শত কোটি টাকার বেশি জামানত আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রাম মানবিক উন্নয়ন ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির নামে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয়ের নামে হাতিয়ে নেয় শত শত কোটি টাকা। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা জামসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান ও উজ্জ্বলের বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে অবস্থান নেয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, ২০০১ সালে সমবায় অফিসের নিবন্ধন নিয়ে প্রতিষ্ঠানে কার্যালয করা হয় জামশা। এরপর বেশী মুনাফার লোভ দেখিয় উপজেলার জামসা, জামির্তা, চারিগ্রাম, বলধারা, সায়েস্তা, তালেবপুরসহ ও জয়মন্টপ ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষ তাদের সঞ্চিত অর্থ জামানত হিসেবে রাখেন। প্রথমদিকে লভ্যাংশ দিলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মূল টাকা ফেরত না দেয়ায় ফুসে উঠে স্থানীয় জনতা। প্রতিষ্ঠানটির মালিকরা এরইমধ্যে গা ঢাকা দেয়। এতে জনতা তাদেন কষ্টের টাকা না পেয়ে চরম দুভোগে দিনাপাত করছে। উপায়ন্ত না পেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচীর ডাক দেয়। মানববন্ধন শেষে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকদের খুজতে বাড়িতে গিয়ে হামলা ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে গ্রাহক ফাতেমা বেগম জানান, তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত। জমি বিক্র করে চিকিৎসার জন্য১০ লক্ষ টাকা সমিতিতে জমা রাখেন। তিন বছর পার হলেও তিনি আজ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাযনি। এ সময তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার তো সব শেষ। এখন শুধু মৃত্যুর অপেক্ষায় আছি।
আরেক ভুক্তভোগী প্রবাসী সেলিম হোসেন বলেন, আমার কস্টের টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্তরা। তারা ইতিমধ্যে দুবাইতে ব্যবসা শুরু করেছেন।পাবলিকের টাকায় তারা আরাম আয়েশ করছেন।আমরা এখন পথে বসেছি। আমার টাকা ফেরত চাই। এ সব অভিযুক্ত টাউটদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে গ্রাহকরা অভিযোগ তুলেছেন ৪ জনের বিরুদ্ধে। এই ৪ জন হলেন, জামশা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা গাজী কামরুজ্জামান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, শ্রমিক লীগের সভাপতি মানিক মিয়া উজ্জ্বল এবং আ’লীগ নেতা হাবিবুল্লাহ।
এ বিষয়ে গাজী কামরুজ্জামানের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার জানান, আমার স্বামী আট-নয় কোটি টাকার দেনার কথা স্বীকার করেছেন। ধীরে ধীরে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তাদেরকে সময় দিতে হবে। এটা সময়ক্ষেপণের কৌশল বলে গ্রাহকদের দাবী।
প্রবণতা
- কাপাসিয়ায় উন্মুক্ত কবর: মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন
- গোপালগঞ্জে নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার চলছে: রাশেদ খাঁন
- জুলাই অভ্যুত্থান উপলক্ষে লালমনিরহাটে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- অবৈধ ভাবে সীমান্ত পারের চেস্টায় ৬ বাংলাদেশী যুবক আটক
- নীলফামারীতে বড় ভাইয়ের রাস্তা বন্ধ করে ঘর উত্তোলন, চলাচলের চরমভগান্তি
- সিলেটের ভোলাগঞ্জে পাথর তুলতে গিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু
- কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না: গয়েশ্বর
- কুষ্টিয়ায় বিয়ের আগে রাতে কনের বাড়ীতে ভয়াবহ ডাকাতি