মনির হোসেন, বেনাপোল :
যশোর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। দুই বছর হলো কোনো আপডেট নেই। পুরনো তথ্য গুলো রয়েছে ওয়েবসাইটে। যা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সেবা প্রত্যাশী মানুষ।
আপলোড করা রয়েছে স্বৈরাচার সরকারের সময়তার দেয়া নানা তথ্য। যেমন-জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মকৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও নৈতিকতা কমিটি, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটি, তথ্য অধিকার আইন ও পরিকল্পনা, ই গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনোভেশন কর্মপরিকল্পনা, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটির তালিকা। কমিটির তালিকায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ পুরনো কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে। অধিকাংশ কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পর বদলী ও ওএসডি হয়ে গেলেও তার কোনো তথ্য বা নতুন কোনো তথ্য নেই ওয়েবসাইটটিতে।
ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ২০২৪ সালের ১০ জুলাই তা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। ওই সময়কার সচিব প্রফেসর আব্দুর রহিম সাক্ষরিত কমিটি আপলোড করা হয়। অথচ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিবর্তন হলেও বোর্ডের ওয়েবসাইটে তার কোনো ছোঁয়া লাগেনি।
সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, সাবেক সচিব প্রফেসর আব্দুর রহিম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ, কলেজ পরিদর্শক সমীর কুন্ডু, বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামের নাম এখনো রয়ে গেছে। শুধু এই কমিটি নয়, পুরনো সব কমিটি রয়ে গেছে ওয়েবসাইটে।
সকল কমিটির তথ্য দেখে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কারণ বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান, সচিব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ পরিদর্শক ও বিদ্যালয় পরিদর্শক যোগদানের পর বোর্ডে নতুন করে সকল কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি কার্যবিধি পরিচালনা করেন। অথচ বোর্ডের ওয়েবসাইটে এখনো নতুন কমিটির কোনো তথ্য নেই।ওয়েবসাইট দেখে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বোর্ডে উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। হয়তো সেগুলো আপলোড করা হয়নি।
এ ব্যাপারে বোর্ডের সচিব প্রফেসর এসএম মাহাবুবুল ইসলাম জানান, সেবা প্রদানের জন্য বোর্ডে অধিকাংশ নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি, সেটা জানা নেই।