পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
“ক্যারিয়ারে কোনও জেন্ডার জানে না” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইএসডিএম ক্লাব ও এইচআর ক্লাবের সার্বিক সহযোগিতায় SheSTEM এর আয়োজনে ”ভবিষ্যতের নেতাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক রোল মডেল” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
SheSTEM নারীদের পুরস্কৃত ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করার জন্য, শিক্ষিত এবং ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । আমরা শিল্প-শিক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান দক্ষতা বৃদ্ধি এবং লিঙ্গ সমতা অনুশীলনের পক্ষে সমর্থন জানাতে নিবেদিতপ্রাণ।
SheSTEM-এর এই উদ্যোগটি নেদারল্যান্ডস রাজ্যের দূতাবাস দ্বারা সমর্থিত এবং পাঁচটি সম্মানিত কনসোর্টিয়াম অংশীদার দ্বারা পরিচালিত। বৃহত্তর SheSTEM প্রকল্পের গর্বিত পার্টনার হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে 10MINUTE SCHOOL, a2i, DevLearn Consulting, LightCastle Partners, এবং Policy Exchange Bangladesh।
বাংলাদেশে মাত্র ১৪% STEM ভূমিকা নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়, যা আমাদের অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। গবেষণা দেখায় যে মহিলা রোল মডেলদের অ্যাক্সেস, পরামর্শদান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ পরবর্তী প্রজন্মের মহিলা বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তি নেতাদের অনুপ্রাণিত করার মূল চাবিকাঠি।
আজ ২৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কনফারেন্স রুমে উক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ, ইএসডিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মহসিন হুসেন খান, এলএলএ অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো: জামাল হোসেন, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পূর্ণেন্দু বিশ্বাস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, ইএসডিএম অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আমিন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: তরিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুপ্রেরণা মূলক বক্তব্য প্রদান করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “নারীদের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রের এবং সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আজ নারীরা ঘরে বাইরে সমান ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা অফিস শেষ করে এসেই ঘরের কাজ করে চলেছেন। কিন্তু নারীদের এই চাকরি বা কর্মসংস্থান এর শতকরা হার এখন ও ১৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ রয়েছে যা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে হবে।”