পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “হিন্দুস্তানে হিন্দুকে খুন করবে? গাজা শেষ হয়েছে, ইসরাইল শেষ করেছে, আমরাও শেষ করব। মোদির শিষ্য আছি। মোদির বাচ্চা আমরা। নাম নিশান উল্টাবো। পলিটিকস ছেড়ে দেন, হিন্দু বলে মেরেছে।”
এই বক্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে নিন্দার ঝড়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শুভেন্দুর মন্তব্যে ঘৃণা ছড়ানোর ইঙ্গিত রয়েছে এবং এটি ধর্মীয় উত্তেজনা উসকে দিতে পারে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা একেবারেই বিভাজনের রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী ফায়দা তোলার জন্য ঘৃণার ভাষা ব্যবহার করছেন। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ করা উচিত।”
অন্যদিকে, বিজেপি নেতাদের একাংশ শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, তিনি যা বলেছেন, সেটি জনগণের আবেগের প্রতিফলন। তারা অভিযোগ করেন, রাজ্যে সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি হচ্ছে এবং হিন্দুদের উপর বারবার আক্রমণ নামছে।
তবে রাজ্যের মানবাধিকার সংগঠনগুলিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, নেতাদের উচিত সংযত ভাষা ব্যবহার করা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা।
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য আদৌ রাজনৈতিক কৌশল, না কি বাস্তব ক্ষোভ—তা নিয়ে বিশ্লেষক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এই বক্তব্য আগামী কয়েক দিনের রাজ্য রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে চলেছে।