সদরুল আইন:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
একইসঙ্গে মামলার প্রক্রিয়া শুরুর সময়ের দ্রুততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন। আদালত মন্তব্য করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তড়িঘড়ি করে মামলা দায়েরের পদক্ষেপটি যথাযথ ছিল না।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের ছয় কর্মকর্তাসহ ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল দুদক। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। পরে ২০২৪ সালের ৮ জুলাই মামলার অভিযোগ গঠন প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ অভিযুক্তরা। কিন্তু হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য দুদকের পক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আবেদন করলে ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়।
তবে আপিলকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ-আল-মামুন জানান, বিচারিক আদালতে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আপিলকারীদের অবহিত না করেই মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়, যা আইনের লঙ্ঘন।
সবশেষে আপিল বিভাগের শুনানি শেষে বুধবার মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল করা হয়, যা ড. ইউনূস ও তাঁর সহকর্মীদের জন্য বড় আইনি স্বস্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।