নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্য ও জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দীন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার সচিবালয়ে উপস্থিতির একটি ছবি ভাইরাল হলে বিষয়টি ঘিরে দলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই রাতেই এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গাজী সালাউদ্দীনকে সাময়িক অব্যাহতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১১ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গাজী সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ এবং এনসিটিবির পাঠ্যবইয়ের কাগজ ক্রয়ে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে তাকে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, কেন তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, এর আগেও গাজী সালাউদ্দীনকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। তবে তিনি সেই সতর্কতা অমান্য করেছেন। তাই শৃঙ্খলা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তাকে দলীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। গত শনিবার এনসিপির সাধারণ সভায় তাকে এসব বিষয়ে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এরপর রোববার সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়।
সোমবার ফেসবুকে তার সচিবালয়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল হলে বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করে। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দ্রুতই তাকে সাময়িকভাবে দায়িত্বমুক্ত ঘোষণা করে এনসিপি।