মুহ. মিজানুর রহমান বাদল,মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সাইডের ডাইভারশন অপসারণ (বাধ) না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার দুই সহ¯্রাধিক কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার বিধা জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার জলাবদ্ধতার আশংকা করেছেন। পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের এক প্রভাবশালী নেতা সেতুর মুখের মাটি অপসরণ করতে বাধা প্রয়োগ করছে। এনিয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ওই এলাকার কৃষকদের গণস্বাক্ষর নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সিংগাইর-সাহরাইল-পারাগ্রাম সড়কের পৌর এলাকার আজিমপুর মহল্লার পাকড়তলায় পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি ভাবে ১০.০৫ মিটার একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হলে জনসাধারনের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সড়কের পূর্ব পাশ দিয়ে ডাইভারশন নির্মান করা হয়। সেতু নির্মাণ কাজ হয় গত ৭-৮ মাস আগে। কিন্ত সেতু দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য ডাইভারশান এখনও তা খুলে দেয়া হয়নি। কিন্তু অধ্যবধি ডাইভারশন অপসারণ না করায় ভোগান্তিতে পরেছে কৃষকরা। এদিকে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের এক প্রভাবশালী নেতা নয়াডাঙ্গি গ্রামের মৃত কালুমিয়ার পুত্র আবুল হাসেম তেুর পূর্ব পাশের জমিটি মাটি ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। সেতুর মুখের মাটি অপসরণ করতে বাধা প্রয়োগ করছে। তার ভরাট করা জমির উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে বাধা হয়ে দাড়িছে। এ ব্যাপাওে আবুল হাসেমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সোমবার(২১ এপ্রিল) স্থানীয় কৃষকেরা গণস্বাক্ষরে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত
অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে গিয়ে সেতুর পূর্বপাশের বাড়ির মালিক কৃষক রিপন মিয়া ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আক্রাম হোসেনসহ একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়,ব্রীজের কাজ শেষ হলেও ডাইভারশনটি অপসারণ না করায় সিংগাইর ও গোবিন্ধল মৌজার পূর্ব ও পশ্চিম পাশের হাজার হাজার একর জমিতে বর্ষা মৌসুমে ও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে । তাই দ্রæত ডাইভারশণটি অপসারণের জন্য প্রশাসনের সৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামরুল হাসান সোহাগ লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার সাথে কথা বলে দ্রæত ডাইভারশন ভেঙ্গে দেয়ার ব্যবস্থা করব ইনশাল্লাহ।