নেতাকর্মীদের আন্দোলনে কোণঠাসা হয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হারানোর পর, দলের গুরুত্বপূর্ণ অনেকে আগেই গোপনে তৈরি করে রাখা সেকেন্ড হোমে আশ্রয় নিয়েছেন। লন্ডন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভাগ হয়ে থাকা এ নেতারা এখন নতুন করে রাজনীতিতে ফেরার পথ খুঁজছেন।
সম্প্রতি লন্ডনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ছেলের বিয়েতে তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক চার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী—হাছান মাহমুদ, আবদুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। এই উপস্থিতি যেন লন্ডনে একটি ‘ছায়া মন্ত্রিসভা’র ইঙ্গিত দেয়।
অনুষ্ঠানে তাদের ভোজ ও হাস্যোজ্জ্বল আড্ডা দেখে অনেক প্রবাসী আওয়ামী কর্মী বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানান। এক যুবলীগ নেতা বলেন, “দেশে আমরা নিরাপত্তাহীন, আর তারা বিদেশে পার্টি করছে— এটা দেখে খারাপই লাগে।”
গত বছরের ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার একটি ভার্চ্যুয়াল সভাতেও লন্ডনে প্রথম দেখা মেলে সাবেক মন্ত্রী আবদুর রহমান ও শফিকুর রহমান চৌধুরীর। এরপর ধীরে ধীরে একে একে প্রকাশ্যে আসেন অন্যরাও। কেউ কেউ এখন ভারতেও অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকেই তাঁরা দলের অবশিষ্ট নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ফলে দেশের ভেতরে কিছু এলাকায় আবারও sporadic মিছিল-মিটিং দেখা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব বিদেশস্থ আওয়ামী নেতার একত্রিত হওয়া কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়—এটি নতুন করে সংগঠিত হওয়ার এক কৌশল। তবে দেশের জনগণ এবং প্রবাসী কর্মীদের চোখে এটি পালানোর রাজনীতিরই আরেকটি প্রকাশ।