শাহবাগে জুট ব্যবসায়ী হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে আদালতে শুনানির দিন নির্ধারিত থাকায় আজ হাজির করা হয় শাজাহান খানকে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় তাকে, পরে শুনানির জন্য তোলা হয় এজলাসে।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে শাজাহান খান বলেন, “রাজাকাররা এখন ক্ষমতায়, আর মুক্তিযোদ্ধারা বন্দি।’’ নির্বাচনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে জানান, ‘‘অবশ্যই নির্বাচন করব।’’
শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক জানান, গত ১৩ এপ্রিল তিনি শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতে আজ ২১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য ছিল।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর শাজাহান খানকে আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘তোমরা কিছু বলো না, শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।’’ এরপর পুনরায় তার আগের বক্তব্য উচ্চারণ করেন: “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
এদিকে আগের দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাফ বলেন, ‘‘আমি শুধু সত্য বলেছি। যেটা ঘটেছে, সেটাই বলেছি।’’ তিনি দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার আওতাধীন চানখারপুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। ওইদিন দুপুরে সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী চলতি বছরের ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে, ২০২3 সালের ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারের পর একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।