মোঃ আব্দুল কুদ্দুস,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে মধুটিলায় পৌঁছেছে। শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে তারা এবছর ভ্রমণ করেছেন প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শেরপুরের মধুটিলায়।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ক্লাব ইকোন আর্টিস্ট্রির তত্বাবধানে বিভাগের প্রায় দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষাসফরটির বাস ভোর ৭টায় ক্যাম্পাস থেকে মধুটিলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। সকাল ১১টায় মধুটিলায় পৌঁছানোর পর প্রথমে সাইটভিট টাওয়ার, লেক, প্যাডেল বোট, স্টার ব্রিজ, মিনি চিড়িয়াখানা, শিশুপার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, এ শিক্ষা সফরে আমরা তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি বাস্তব জ্ঞান অর্জন করেছি যা ইন্ডাস্ট্রিয়াল একাডেমিয়া উন্নয়নে সহায়ক এবং এই ধরনের শিক্ষা সফর তাদেরকে দেশ সম্পর্কে জানার ও দেখার জন্য প্রেরণা যুগিয়েছে। এরূপ সফর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে বলে মত পোষণ করেন।
ইকোন আর্টিস্ট্রির মডারেটর প্রভাষক এস.এম. আশরাফ হোসেন বলেন, আধুনিক, তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ শিক্ষাদানের পাশাপাশি অর্থনীতি বিভাগ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শিক্ষাসফর এমন একটি কার্যক্রম, যা পাঠ্যবইয়ের সীমার বাইরে গিয়ে বাস্তব জ্ঞান অর্জনের এক অনন্য সুযোগ তৈরি করে। শ্রেণিকক্ষে শেখা তত্ত্ব যখন বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিত হয়, তখন শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হয়। শিক্ষাসফর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল বাড়ায়, জানার ইচ্ছা জাগায় এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিস্তৃত করে। তাদের মধ্যে দলগতভাবে কাজ করার মনোভাব, শৃঙ্খলা বজায় রাখার দক্ষতা এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাও বৃদ্ধি করে।
অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান বিজন কুমার বলেন, গুণগত শিক্ষার ক্ষেত্রে ভ্রমণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুসঙ্গ। একটি শিক্ষাসফর কেবল সফরই নয়, এর মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থী নতুন নতুন ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে; জানতে পারে সেসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কার্যাবলী এবং নানা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। এ ধরনের ভ্রমণ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এবারে আমরা মধুটিলা ইকোপার্ককে নির্বাচন করেছিলাম। প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে আমাদের শিক্ষার্থীদের এ অপার মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলী বিকাশে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে নামায বিরতির পর শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, রাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন শেষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে মধুটিলা ত্যাগ করে শিক্ষাসফরের বাস।