বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পহেলা বৈশাখে জাতির একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে—চুরি হয়ে যাওয়া ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করা। দেশের মানুষ এই নববর্ষে চায় ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
মঙ্গলবার রাজধানীর পরিবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে ‘সতীর্থ স্বজন’ আয়োজিত নববর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের সংস্কৃতি ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। এমনকি পহেলা বৈশাখের মতো প্রাণের উৎসবেও মুখোশের আড়ালে বিরোধীদলের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। দাড়ি-টুপি পরা মানুষদের নিয়েও চালানো হয়েছে কুৎসিত ষড়যন্ত্র।”
তিনি স্মরণ করেন আন্দোলনের সময়ের সেই দৃশ্য, যখন ছাত্রদলের একের পর এক কর্মী পুলিশের গুলির মুখে এগিয়ে যাচ্ছিল। “একজন পড়ে গেলে আরেকজন এসে দাঁড়াতো, এই সাহস আর উদ্দীপনার উৎস আমাদের কবিতা, নজরুলের গান, দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি।”
ভোটাধিকার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র একটি প্রবাহমান নদীর মতো। সেখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো জায়গা নেই। অথচ আজ সংস্কারকে ভোটাধিকার থেকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে। এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রচেষ্টা।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রের কথা না বলে সংস্কারের কথা বলছে, অথচ সংস্কার কখনোই গণতন্ত্রের বিকল্প হতে পারে না। যাদের কথা শোনা উচিত, সেই উপদেষ্টারাও আজ বিএনপিকে শত্রু ভাবছেন।”
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, “এই পহেলা বৈশাখ আমাদের জন্য যেন আরেকটি ঈদের মতো। কারণ, ছাত্রদল আজ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার এক নাম। নববর্ষের প্রার্থনা হোক—সবাই সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কবি রেজা স্টালিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ।