লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নুরুল আমিন (৬০) নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধি বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এসময় নিহতের ৪ ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আহতরা হলেন,নিহত নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলু, মো. মামুন, মো. ফিরোজ ও মেয়ে আছমা আক্তার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান সড়কের চৌধুরীর চায়ের দোকানের সামনে বেদম হামলার শিকার হন বৃদ্ধ নুরুল আমিন ও তার ৪ সন্তান।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে নিহত নুরুল আমিনের বাড়ীতে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, বাবাকে হারিয়ে তার ৩ মেয়ে সালমা,আছমা, ফাতেমা বেগমের বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছে। যারা তাদের বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তারা।
এদিকে নুরুল আমিনের মৃত্যুতে তোরাবগঞ্জ বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নুরুল আমিনকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য দাবি করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানায় বিক্ষুব্ধরা। এতে ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
তবে আটক সেলিম এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘটনার সময় নুরুল আমিনের ছেলে মামুন চা খেতে যায় চৌধুরীর দোকানে এতে তাকে একা পেয়ে কোন কারণ ছাড়াই কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিম মারধর করে। খবর পেয়ে নুরুল আমিনসহ তার ছেলে বুলু ও আছমা ঘটনাস্থলে যায়। এসময় মামুনকে বাঁচাতে গেলে তারাও মারধরের শিকার হয়। এই মারধরে নুরুল আমিন আহত হয়৷ আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নুরুল আমিনসহ ৩ জনকে সদর হাসপাতালে পাঠায় পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। সদর হাসপাতালে নিলে নুরুল আমিনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নুরুল আমিনের মেয়েদের দাবি তাদের সেজো ভাই মামুন চৌধুরীর দোকানে ১২৫ টাকা বাকি করে। এ নিয়ে দোকানীর সঙ্গে তাদের ভাইর সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনার সময় চৌধুরীর লোকজন কামাল, জামাল, মাসুদ, আলমগীর, মনির ও সেলিম মিলে সেজো ভাই মামুনকে মারপিট করে। একপর্যায়ে তাদের বাবা-ভাইকে পিটুনি দিয়ে দোকানের সামনে একটি গর্তে ফেলে দেয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকে চেষ্টা চলছে।
মো: রবিউল ইসলাম খান
লক্ষ্মীপুর