শাহালাল ইসলামঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, সাধারণ জনগণের উপরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ।
আওয়ামী লীগের দোসর গোদাগাড়ী উপজেলার বর্তমান ইউএনও ফয়সাল আহমেদের রাইট হ্যান্ড খ্যাত উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনার যোগসাজশে স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক জণকন্ঠ পত্রিকার গোদাগাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি মো: অলিউল্লাহ ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেন গোদাগাড়ী উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলার সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের উদ্যোগে গোদাগাড়ী উপজেলার প্রধান গেট সংলগ্ন ও উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করাসহ সমাজের অনিয়ম তুলে ধরায় সাংবাদিকরা হামলা মামলার শিকার হয়। তেমনি করে গত ১ মার্চ গোদাগাড়ী মডেল থানায় ও ৬ এপ্রিল রাজশাহীর আদালতে পৃথক ২ টি মামলা করে উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী হাফিজুর রহমান কাজের মেয়ে রুবিনার সাথে জনতার হাতে আটক হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিক অলিউল্লাহ স্থানীয় সাংবাদিক সহ রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা নিউজ প্রকাশ করেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আটকের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেন সাধারণ জনগণ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার প্রশাসনের পরামর্শে মামলা করেন তারা।আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ইউএনও ফয়সাল আহমেদ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তা হাফিজুরের অপসারণের দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে এ সমস্ত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,গোদাগাড়ী পৌর প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি ও দৈনিক উপচার পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক সারোয়ার সবুজ,
আমার দেশ পত্রিকার গোদাগাড়ী প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, কালবেলার সাংবাদিক জামিল আহমেদ , সংগ্রাম পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল খালেক, সময়ের আলো পত্রিকার সাংবাদিক আবু তাহের, মানবকণ্ঠের সাংবাদিক মানিক হোসেন,নববাণীর সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, জনকণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক অলিউল্লাহ, শানশাইন পত্রিকার শাহালাল সহ স্থানীয় জনসাধারণ।
উল্লেখ্য, গোদাগাড়ী উপজেলার উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনা গত ২৭ ফেব্রুয়ারী আনুমানিক বিকেল ৫:৩০ মিনিটে উপজেলার রুপালী ভবনের ২য় তলায় জনতার হাতে আটক হন। এ বিষয়ে নিউজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় তাদের ভিডিও। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ১ মার্চ একটি মিথ্যা মামলা করেন হাফিজুর। প্রথম অভিযোগে বলা হয় বর্তমান ও সাবেক ইউএনও’র পরামর্শে অভিযোগ করেন তিনি।পরবর্তী অভিযোগে বলা হয় পরিবারের পরামর্শে।
এছাড়াও হাফিজুরের বিরুদ্ধে ১৮ আগস্ট ২০২৪ সালে ১৭৫৬ নং ডকেটে ঘুষ,দূর্নীতি ও বাঘা -চারঘাটে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ দেওয়া হয় রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক রাজশাহী কে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলোও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।