সত্যজিৎ দাস (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি):
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় নতুন একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কুলাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিপার উদ্দিন আহমদ সহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামী হিসেবে সিপার উদ্দিনের নাম রয়েছে এবং অন্য আসামীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম সহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এবং ছাত্রলীগের নেতারা আছেন।
মামলাটি গত ১৫ মার্চ রাতে ভাটেরা ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা মো. রকিব আলী এর ছেলে জিঙ্গাবাড়ী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান এর ভাই সাইদুর রহমান দায়ের করেছেন। এই মামলায় আরও ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই হামলার ঘটনাটি গত ৫ আগস্ট পরবর্তী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ঘটে,যেখানে ১০৩ জনের নামোল্লেখ করে দুটি মামলা দায়ের হয়েছিল। গত ৪ আগস্ট,ভাটেরা স্টেশন বাজারে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করে,যার ফলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
তবে এবার নতুন মামলায়, রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি কয়েকজন প্রবাসী,শিক্ষক এবং সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার সদস্যদেরও আসামী করা হয়েছে।
মামলায় আসামীদের মধ্যে আছেন; দুবাই প্রবাসী নুরুল আমিন,পর্তুগাল প্রবাসী বদরুল আমিন,ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ফ্রান্স, সৌদি আরব,পর্তুগাল প্রবাসী ব্যক্তিরাও।
মামলায় স্থানীয় ভাটেরা সাইফুল তাহমিনা মাদ্রাসার দপ্তরী,ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের দপ্তরী এবং ভাটেরা ইউনিয়নের হিন্দু পরিবার এর সদস্যদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার মধ্যে,রাজনৈতিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের নাম আসামী করা হয়েছে। এর পাশাপাশি,লিল মিয়া হত্যাকাণ্ডের মামলায়ও কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ রয়েছে,যেখানে আইয়ুব আলীকে ৯ নম্বর আসামী করা হয়েছে।
এদিকে, মামলার বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন,“যদি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা না থাকে,তবে কাউকে অযথা হয়রানি করা হবে না।” তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে,তারা পাসপোর্টের কপি জমা দিলে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাইদুর রহমান বলেছেন, “মামলা ও আসামীদের বিষয়ে আমি কিছু জানি না, সব পুলিশ জানে।”