বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে কোনো রাখঢাক না রেখেই ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনাকে পরাস্ত করবে তারা। রোমারিওর সঙ্গে ‘রোমারিও টিভি’ পডকাস্টে রাফিনিয়া বলেছিলেন, “আমরা আর্জেন্টিনাকে গুঁড়িয়ে দেব, সন্দেহ নেই। মাঠের ভেতরেই নয়, দরকার হলে বাইরে থেকেও।“
তবে মাঠে নামার পর সেই উচ্চকণ্ঠের জবাব দিয়েছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল স্কালোনির দল দেখিয়ে দিয়েছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব, আর ব্রাজিলকে কঠিন পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে বুয়েনস আইরেসের মনুমেন্তালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৪-১ ব্যবধানে জয় পায় আর্জেন্টিনা।
খেলার চতুর্থ মিনিটেই ব্রাজিলের রক্ষণ ভেদ করে আর্জেন্টিনা প্রথম গোল করে। গিয়ের্মে আরানা ও মুরিলোর মাঝখানে বল পেয়ে হুলিয়ান আলভারেজ গোল করেন। ২০ মিনিট পার হতে না হতেই এনজো ফার্নান্দেজের সহায়তায় দ্বিতীয় গোল যোগ হয়।
ব্রাজিলের হয়ে ম্যাথিয়াস কুনহা এক গোল শোধ করলেও ৩৮ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের গোল তাদের ম্যাচে ফেরার আশায় পানি ঢেলে দেয়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-১ ব্যবধানে, যেখানে দুই দলের খেলোয়াড়রা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করায় হলুদ কার্ড দেখতে হয় কয়েকজনকে।

৭১তম মিনিটে গুইলিয়ানো সিমিওনে ব্রাজিলের রক্ষণ ভেঙে চতুর্থ গোল করেন, যা কার্যত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। ব্রাজিলের গোলরক্ষক বেনতো ম্যাথিউস তার শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন, আর মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা ৪-১ ব্যবধানে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
মনুমেন্তালে ম্যাচ শুরুর আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা, যা তাদের বাছাইপর্বের ইতিহাসে দ্রুততম কোয়ালিফিকেশন। ব্রাজিলের জন্য ম্যাচটি ড্র করলেও বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল, তবে বলিভিয়া ও উরুগুয়ের গোলশূন্য ড্রয়ের ফলে আগেভাগেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যায় আর্জেন্টিনার।