সলিম আহমদ সলু (সিলেট) ব্যুরো :
আওয়ামিলীগের ধোসররা বিভিন্ন মামলা থেকে নিজেদের বাচাঁতে বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের কমিটিতে আশ্রয় নিচ্ছেন। সুত্র থেকে জানা যায় আওয়ামী সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণ এবং নেতা-কর্মীদের নামে মামলা থাকায় তারা বাঁচার জন্য বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনে যোগদান করেছেন। তবে অন্য আরেকটি সুত্র বলছে বিএনপির রাজনীতিকে কুলষিত করতে এরা আওয়ামিলীগের এজেন্ট হয়ে দলে যোগদান করছে। এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, তাতীলীগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীরা নানা কৌশলে বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনে যোগদান করেছেন।
ইতিমধ্যে অনুপ্রবেশকারিদের নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া সরগরম হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের ধোসরদের বিএনপিতে যোগদানের ঘটনায় বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে দীর্ঘদিন দলীয় কর্মকাণ্ডে নন এমন অনেককে দলীয় পদ দেয়া নিয়ে চলছে ত্যাগীদের মধ্যে উত্তেজনা। গতকাল ১৮ মার্চ ঘোষনা করা হয় সিলেটের ৬ টি থানার সেচ্ছাসেবকদলের কমিটি। কমিটি ঘোষনার পর পরই রাতে কমিটিতে আওয়ামী ধোসরদের স্হান দেয়া হয়েছে বলে ঝাড়ু মিছিল বের করা হয়। খোজ নিয়ে জানা যায় সেচ্ছাসেবকদলের শাহপরান থানা কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক মোঃ গোলাম কিবরিয়া রাজু বিগত পতিত হাসিনা সরকারের আমলে ছিলেন সিলেট নগরীর বালুচর এলাকার ত্রাস। তিনি জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ এমব কোন কাজ নেই করেননি। বালুচরের আরেক ত্রাস ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুর হয়ে রাজু কাজ করতেন। তিনি আওয়ামিলীগ নেতা গিয়াস মেম্বারের আপন ছোট ভাই।
রাজুর বিরুদ্ধে মামলা:- জানা যায়, সিলেট শাহপরান থানাধীন বালুচর এলাকার সামী ভেরাইটিজ স্টোরে গত ৫ই আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাত ঘটিকায় বালুচর এলাকার আওয়ামিলীগ নেতা মিজান, নাসির, স্বপন, শাহেদ, বাবলু, পাপলু, গোলাম কিবরিয়া রাজুসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর করে দোকানের প্রায় সাড়ে পাঁচলাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সামী ভেরাইটিজ স্টোর প্রোপাইটার আরব আলী ১৪ আগষ্ট শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নং- ( মামলা নং ২৩/২৩৮)। মামলাটি এখনও আদালতে চলমান। পট পরিবর্তনের পর রাজু পলাতক হয়ে যায়। আজও সে পলাতক আসামী হয়ে ঘুরছে। সেই রাজু নিজেকে মামলা থেকে বাচাঁতে সেচ্চাসেবকদলের নেতাদের ম্যানেজ করে শাহপরান থানা কমিটিতে ঢুকে পড়ে।
রাজুর হুমকি:- মামলার বাদী আরব আলী জানান, রাজু গতকাল সেচ্চাসেবকদলে পদ পেয়ে তাকে প্রানে হত্যার হুমকি দেয়। রাজু ও তার দলবল বলে, এখন তোর কোন বাবা বাচাবে। দেখ আমি এখন বিএনপির নেতা। বর্তমানে মামলার বাদী জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। তিনি বলেন, সারাজীবন বিএনপি সমর্থন করলাম। অথচ আজ আওয়ামিলীগের ধোসর বিএনপি নেতা সেজে আমাাকে হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে সিলেট শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেনের মোবাইলে ফোন দিলে কথা বলার আগেই তিনি ফোন কেটে দেন।
এদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা-হামলার শিকার ত্যাগী নেতৃবৃন্দদের পদ না দিয়ে অনুপ্রবেশকারি ও দীর্ঘদিন দলীয় কর্মকান্ড থেকে দুরে থাকা কর্মীদের মুল্যায়ন করাটা দলের জন্য হুমকি স্বরুপ। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হতে পার।